

বিশ্ববাসীর কাছে রোহিঙ্গা সংকটকে গুরুতর মানবিক বিপর্যয় হিসেবে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক বাণীতে তিনি বলেন, “বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। অন্তর্বর্তী সরকারকে গতিশীল কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।”
তারেক রহমান বলেন, বিশ্ব শরণার্থী দিবস প্রতি বছর ২০ জুন জাতিসংঘের আয়োজনে পালিত হয়, যা বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের সম্মান ও তাদের দুঃখ-কষ্ট সম্পর্কে আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “আজও বিশ্বের দেশে দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা ভয়াবহ ও অমানবিক রূপ ধারণ করেছে। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফসহ কয়েকটি স্থানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির গড়ে উঠেছে, যেখানে প্রায় ১৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বসবাস করছে। তারা মিয়ানমারে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে গত আট বছর ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।”
বিএনপি নেতা জানান, বাংলাদেশের জনগণ তাদের মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা বিশ্বে মানবতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে এখন সময় এসেছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের। এজন্য আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, “রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা, বাংলাদেশ কীভাবে তাদের আশ্রয় দিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, মিয়ানমার কীভাবে তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে এবং প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার কথা রাখেনি—এসব বিষয় আন্তর্জাতিক মহলের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন।”