

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক এই বৈঠকটি রাজনীতির মাঠে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যদিও এতে কী আলোচনা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই সাক্ষাৎ নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা মন্তব্য নতুন করে কৌতূহল উসকে দিয়েছে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “বিলেত সফর শেষে লন্ডনে পৌঁছে জামায়াতের আমির এবং নায়েবে আমির সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দীর্ঘ এ আলোচনায় তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “সাক্ষাৎকালে কী আলোচনা হয়েছে তা জানা না গেলেও এটি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল, নাকি বৃহত্তর রাজনৈতিক সমীকরণের কোনো অংশ—তা এখনই বলা কঠিন। সামনের দিনগুলোর দিকেই আমাদের নজর রাখতে হবে।”
বিভিন্ন সূত্র মতে, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকেই তার চিকিৎসা চলছে। এই অবস্থায় রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল এমন এক সময়ে জামায়াত নেতাদের এই সফর ও সাক্ষাৎ ভবিষ্যতের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
পোস্টে মারুফ কামাল খান আরও উল্লেখ করেন, বেগম জিয়া যুক্তরাজ্যে আসার আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর বাসায় সস্ত্রীক গিয়ে দেখা করেছিলেন। সেই সাক্ষাৎ নিয়েও কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ হয়নি, তবে এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা, রোডম্যাপ এবং বিরোধী দলগুলোর ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের সাক্ষাৎ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
তবে এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ নাকি ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে বড় ধরনের রাজনৈতিক আলাপ—তা সময়ই বলে দেবে।