

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনিরা কায়ছানকে প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যেহেতু তিনি ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্ট দেন, যেখানে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেন। বুধবার সকালে পোস্ট দেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পোস্টের পর এসিল্যান্ড দাবি করেন, তিনি লেখাটি লেখেননি এবং তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছিল। পরে তিনি আবার আইডি পুনরুদ্ধার করেন।
এদিকে, পোস্ট দেওয়ার পর সরাইল অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে গেলে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন এসিল্যান্ড। তিনি মাঠ থেকে ফিরে আসেন এবং প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর পোস্টটি মুছে ফেলে দাবি করেন যে এটি আইডি হ্যাক হওয়ার কারণে লেখা হয়েছিল।
এ দাবিকে নাটক বলে সরাইল উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা এসিল্যান্ডের অপসারণ দাবি করেন এবং ফেসবুকে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
এসিল্যান্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে লেখা ছিল: “পৃথিবীর বুকে বাংলার নাম আজ উজ্জ্বল, লড়াইয়ের ইতিহাসে লেখা হলো অনন্য মহিমা, সেখানে বীরত্বের গান বাজে নিঃশব্দে, শাসকগোষ্ঠীর শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তির সীমানা…”। পোস্টে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা হয়।
এ ঘটনায় সরাইল উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানান এবং এসিল্যান্ডের অপসারণ দাবি করেন। পরে তিনি দাবি করেন, তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এসিল্যান্ড দাবি করেছেন লেখাটি তিনি লিখেননি। এ আইডির পাসওয়ার্ড অনেকের কাছে ছিল। জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেছেন তাকে আপাতত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছুটিতে পাঠাতে। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছেন।’