

“শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়”—মহান মে দিবস উপলক্ষে এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইদিনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বর্তমানে শ্রমিকদের অবস্থা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যার বড় প্রভাব পড়বে সমাজে।”
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘মে দিবস’ ও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
র্যালির উদ্বোধনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে তিনি বলেন,
“মালিক-শ্রমিক এক কাতারে দাঁড়ালেই সমাজের চিত্র বদলে যাবে।”
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-তে বাংলাদেশের অবস্থান নাজুক, যেখানে বিগত ২০-৩০ বছরে শ্রমিকদের বেতন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যবস্থাপনায় পড়েছে।
“আরেকটু হলেই আমাদের ব্যান করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল,” — এমন উদ্বেগের কথাও তিনি প্রকাশ করেন।
এর আগে বৃহত্তর জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন,
“গণঅভ্যুত্থানে শ্রমিকরা ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়িয়েছিল। আজও দেশ গড়ার আন্দোলনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:
- শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান
- শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহমেদ
- আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট হাংবোর ভিডিও বার্তা
মে দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল: “শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে।” দেশজুড়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো এ উপলক্ষে র্যালি, সমাবেশ ও আলোচনা সভা আয়োজন করে।