

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বিএনপি। তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের মাধ্যমে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্ব গ্রহণের পর সংবাদপত্র পুনরায় চালু করে স্বাধীনতার পথ সুগম করেন।”
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
ফখরুল বলেন, “আমরা নিঃসন্দেহে বলব না যে একেবারে নিখুঁত, কিন্তু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপি বরাবরই ভূমিকা রেখেছে। সরকারে থাকুক বা না থাকুক, মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিএনপি কখনও বাধা দেবে না।”
তিনি জানান, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে ষাটের দশকে, পাকিস্তান শাসনামলে। সেই সময় সংবাদমাধ্যমে নিজস্ব দায়বদ্ধতা, দেশপ্রেম এবং সাহসিকতা ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সূচকে এটি প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে, যা ইতিবাচক দিক।”
গণতন্ত্রের চর্চায় জনগণের মতকে মূল্য দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গণতন্ত্র মানে ‘আমি’ নয়, ‘আমরা’। গণতন্ত্রে চিন্তার বৈচিত্র্য ও মতবিনিময়ের সুযোগ থাকতে হবে।”
আলোচনায় রাজনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপিকেই বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় শাসনব্যবস্থা এবং কেয়ারটেকার সরকারের ধারণা প্রবর্তনের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। “আমরাই একদলীয় শাসন থেকে বেরিয়ে এসে রাজনৈতিক সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছি। এরপরও আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত,”—যোগ করেন তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সহ-সভাপতি নুরুল কবীর, মতিউর রহমান চৌধুরী, কবি হাসান হাফিজ, মাহমুদুর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি, মো. নাহিদ ইসলাম ও শাহেদ মুহাম্মদ আলী প্রমুখ।