

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট আজ (সোমবার) বিকেল ৩টায় উপস্থাপন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি হবে বাংলাদেশের ৫৪তম এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় বাজেট উপস্থাপন হবে ভিন্ন আঙ্গিকে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিসহ বেসরকারি সব চ্যানেলে তাঁর বাজেট বক্তৃতা একযোগে সম্প্রচার করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বাজেটের আকার কিছুটা কমানো হয়েছে। ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম।
এর আগে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেই সময় অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮–০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।
এবার সংসদ না থাকায় কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা বা বিতর্কের সুযোগ নেই। তবে বাজেট ঘোষণার পর জনমত গ্রহণ করা হবে, যা বিশ্লেষণ করে ২৩ জুনের পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে তা কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে।
১৯৭২ সালে তাজউদ্দিন আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ৫৩টি বাজেট পেশ হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ১০টি বাজেট পেশ করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
নতুন বাজেটে কোন খাতগুলোতে বরাদ্দ কমবে, কোন খাতে বাড়বে এবং রাজস্ব আহরণ কেমন হবে—তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান ও কৃষি খাতে বরাদ্দে কী প্রাধান্য দেওয়া হয়, তা এবারও গুরুত্ব পাচ্ছে।