

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “যে সংস্কারে জাতির কল্যাণ হয়, বিএনপির পক্ষ থেকে সেটিই বিবেচনা করা হবে।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের চা বিরতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধান, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন ব্যবস্থা—এই তিনটি স্তরে বিএনপি বিস্তারিত সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে এবং দফায় দফায় আলোচনা চলছে।
তিনি জানান, সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবে ১৩১টি দফা রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২৫টি বিষয়ে একমত বা আংশিক একমত হয়েছে উভয় পক্ষ। বাকি দফাগুলোর ওপর আলোচনা চলবে।
‘স্প্রেডশিট বিভ্রান্তিকর, দফাগুলো যথাযথভাবে উপস্থাপন হয়নি’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, কমিশনের দেওয়া প্রাথমিক স্প্রেডশিটে তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং প্রস্তাবনাগুলো আংশিক উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিচার বিভাগ বিষয়ে আলোচনায় তিনি বলেন, বিএনপি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চায়, তবে বিচারক নিয়োগসহ সব প্রক্রিয়া সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে হওয়া উচিত।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “আর্টিকেল ৯৫ সংশোধন ছাড়াই বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ জারি করতে বলা হয়েছে, যা সাংবিধানিকভাবে যথাযথ নয়।”
আলোচনা চলবে, সমঝোতার চেষ্টা অব্যাহত
বিএনপি’র অবস্থান স্পষ্ট করে সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা বোঝাতে চাই, সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি কতটা সিরিয়াস। আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র প্রতিনিধি দলে সালাহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও নজরুল ইসলাম খান, ইসমাইল জবিহউল্লাহ এবং ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
অন্যদিকে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ এবং উপস্থিত ছিলেন বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান এবং মনির হায়দার।