সম্প্রতি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশে বিচার বিষয়ক সুপারিশ অধ্যায়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে৷
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া সারা দেশের সব উপজেলায় আগামী দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৬ সালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন করার সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন৷
সুপারিশে বলা হয়েছে, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের পাশাপাশি একই পদমর্যাদায় প্রতিটি উপজেলায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্ত (এডিআর) এর জন্য একজন সিনিয়র সহকারী জজ এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পূর্ণাঙ্গ কার্যালয় স্থাপন করা। ইউনিয়ন পরিষদের অধীন গ্রাম আদালত বিলুপ্ত করে ওয়ার্ড পর্যায়ে সালিশি ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দান এবং সালিশ সমূহের তত্ত্বাবধান, সালিশকারদের প্রশিক্ষণ ও সালিশের আপিল শুনানির জন্য এডিআর আদালতের বিচারকের এখতিয়ার ও প্রশাসনিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি উপজেলায় না হলেও প্রতিটি জেলায় অন্তত তিনটি এডিআর পরিচালনার উপযোগী কাঠামো সৃষ্টি এবং এডিআর ম্যাজিস্ট্রেসেটর সঙ্গে হেডম্যান-কারবারী ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড/গ্রাম ভিত্তিক সালিশের সংযোগ স্থাপন করা।
সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠি অধ্যুষিত উপজেলাসমূহের এডিআর ম্যাজিস্ট্রেটের সালিশ তত্ত্বাবধান ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার কমিউনিটি নেতৃত্ব পর্যন্ত তদারকি ব্যবস্থার সম্প্রসারণ করা।
এতে বলা হয়, জেলা নয়, উপজেলাই হবে দেশের স্বীকৃত নিম্ন আদালত এবং জেলা হবে মধ্যবর্তী আদালত। জেলা জজ হবেন জেলা ও উপজেলা আদালতসমূহের তত্ত্বাবধায়ক।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron