
আরিফুল ইসলাম ব্যুরো চীফ-ময়মনসিংহ ||

সাহিত্য অঙ্গনে আলো ছড়াচ্ছেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান জামাল উদ্দিন আহমেদ। তাঁর কৃতিত্ব ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে,তাঁর সাহিত্য কর্মের ভূয়সী প্রশংসাও করছেন সুধীমহল। জামাল উদ্দিন আহমেদ ১৯৭৩ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার ঐতিহ্যবাহী গফরগাঁও উপজেলাধীন নামালংগাইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতা মো. হোরমত আলী, মাতা: ছাহেরা খাতুন। তাঁর শৈশব কাল কেটেছে নিজ গ্রাম কুঁড়ি বিলে সাঁতার কেটে ও মেঠো পথে খেলাধুলা করে।
তিনি গফরগাঁও উপজেলাধীন চাইর বাড়ীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ১৯৮৭ সালে প্রথম বিভাগে দাখিল ও ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় বিভাগে আলিম এবং ১৯৯১ সালে ফাজিল (স্নাতক) ডিগ্রী লাভ করেন।
স্কুল জীবন থেকেই তাঁর লেখা-লেখির হাতেখড়ি। কবি তাঁর কবিতার জমিনে লেপটে দিয়েছেন বিচিত্র ভাবনা। নিরবে নিভৃত্তে সাহিত্য চর্চা করে চলেছেন নিরঅলস ভাবে। তাঁর ভালো লাগে নদী পাড়, ভালো লাগে উদাসী হাওয়া, ছায়া বৃক্ষের নিচে বসে কবিতা লিখতে। তাঁর লেখা-লেখির ফসল স্বরূপ ২০১৬ সালের ২১ শে বই মেলায় প্রকাশ পেয়েছে শিশুতোষ গ্রন্থ ‘বিহঙ্গ’ এবং গদ্য কবিতা ও ছোট গল্পের সমন্বয়ে প্রকাশ পেয়েছে ‘সন্ধ্যা তারা’। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই সাদা ও সদালাপী এবং স্পষ্টভাষী মানুষটি একাধারে কবি, ছড়াকার, গল্পকার ও গীতিকার হিসেবে সুনাম ও সম্মান উভয়েই অর্জন করে চলছেন। তাঁর কবি জীবনে লেখা-লেখির স্বীকৃতি স্বরূপ ‘বাংলাদেশ জাতীয় পাঠ্য-পুস্তক ও প্রকাশনা বোর্ড’ কর্তৃক ২০২০ সালে তাঁর কবিতা ও লেখা নির্বাচিত করেছেন বিভিন্ন ক্লাসে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেই গ্রন্থটির নাম ‘সন্ধ্যা তারা’ ছোট গল্প ও গদ্য-কবিতা সমন্বয়ে রচিত এবং শিশুতোষ গ্রন্থ ‘বিহঙ্গ’ থেকে।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ হলো ‘সঞ্চিত সুর’ (২০১৭) এবং ‘ঝি ঝি পোকা’ (২০১৭), ‘বেরং’ (২০১৮) এবং ‘নুপুরে যাদু আছে’ (২০১৮)। ‘হলদে পাখি’ (২০২০) এবং ‘শঙ্খচিল’ (২০২৫)। তিনি নিয়মিত জাতীয় পত্র-পত্রিকায় কবিতা লিখছেন।
সারা বিশ্বকে নিয়ে ভাবেন বলে সুধী সমাজে তাঁকে দ্বিতীয় বিশ্বকবি হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। বর্তমানে তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী। সংসার জীবনে তিনি তিন কন্যা জেরিন, আফরিন ও বিথী এবং স্ত্রী কে নিয়ে সুখেই আছেন।
তিনি দেশ এবং বিদেশের মানব জাতিকে নিয়ে কবিতা লিখে আসছেন, তাঁর কবিতা হচ্ছে প্রেম ভালোবাসা সুখ শান্তি নিয়ে,সমাজে ভালো যুব সমাজ গড়ে তোলা, দেশ-বিদেশি যুদ্ধ থেকে বের হয়ে আসা, তিনি কবিতাকে লালন করে নিজ সন্তানের মত যত্নসহকারে কবিতা লিখেন। তাঁর ইচ্ছা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কবিতা গল্প উপন্যাস লিখে যেতে চান। সম্প্রতি তিনি কিশোরগঞ্জের চন্দাবতি বই মেলা থেকে সম্মাননা পাচ্ছেন।