

সিঙ্গাপুরে আগামী ৩ মে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৩ এপ্রিল নির্ধারিত হয়েছে প্রার্থী মনোনয়নের দিন। এবারের নির্বাচনে প্রার্থীরা মাত্র ৯ দিন প্রচারণার সুযোগ পাবেন।
নির্বাচনী প্রচারে মূল আলোচনার বিষয়গুলো হলো—
🔸 জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি
🔸 আবাসন সংকট
🔸 কর্মসংস্থান সমস্যা
🔸 প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা চাহিদা
ক্ষমতাসীন পিপল’স অ্যাকশন পার্টি (পিএপি) ১৯৫৯ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে জয়লাভ করে আসছে। এবারের নির্বাচনেও তাদেরই এগিয়ে থাকার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২০২০ সালের নির্বাচনে পিএপি ৮৩টি আসনে জয় পেলেও, ওয়ার্কার্স পার্টি ইতিহাস গড়ে ১০টি আসন জিতে নেয়— যা ছিল বিরোধীদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৯৭টি আসনে, যেখানে রয়েছে ‘গ্রুপ রিপ্রেজেন্টেটিভ কনস্টিটুয়েন্সি (জিআরসি)’ ব্যবস্থা— একক প্রার্থীর বদলে দলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।
জনমত জরিপ যা বলছে:
মার্চে ইউগভ পরিচালিত জরিপে অংশ নেওয়া ১,৮৪৫ জনের মধ্যে ৪৪% জানিয়েছেন, তারা কাকে ভোট দেবেন তা ঠিক করেছেন।
এর মধ্যে—
✅ ৬৩% ভোট দিতে চান পিএপি-কে
✅ ১৫% ভোট দিতে চান ওয়ার্কার্স পার্টি-কে
নতুন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়ে-র জন্য এটি হতে যাচ্ছে প্রথম বড় নির্বাচন। ফেব্রুয়ারিতে উপস্থাপিত বাজেটকে অনেকেই বলছেন ‘ফিল-গুড বাজেট’, যা ভোটারদের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছাতে পারে।
সিঙ্গাপুরে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, এবং এখানে যুক্তরাজ্যের মত ‘ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট’ পদ্ধতি কার্যকর। তবে বড় আসনে দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাটা বিরোধীদের জন্য চ্যালেঞ্জের।
একজন প্রার্থীর জন্য জামানত দিতে হয় ১৩,৫০০ সিঙ্গাপুর ডলার, যা ফেরত পেতে হলে পেতে হয় মোট ভোটের এক-অষ্টমাংশের বেশি।
সিঙ্গাপুর এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে— সকলেই পিএপি’র।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ দীর্ঘ ২৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, এবং তার ছেলে লি সিয়েন লুং ২০ বছর পর দায়িত্ব ছাড়েন।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা, স্ট্রেইটস টাইমস