

টানা বৃষ্টিতে সিলেটের বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যেই পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে ভারতের আসাম ও মেঘালয়েও ভারী বর্ষণের ফলে সেখানকার পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করেছে। ফলে বিয়ানীবাজার উপজেলা যখন তখন ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বারবার বন্যার সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিরণ মাহমুদকে প্রধান করে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও রাতের মধ্যেই পানি দ্রুত বাড়তে শুরু করে। পানির প্রবল গতি ও প্রবণতা দেখে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যেকোনো সময় এই দুই নদী দু’কূল ছাপিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, কুশিয়ারার পানি আমলসীদ পয়েন্টে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিল বিপৎসীমার ৫.৪২ মিটার নিচে। কিন্তু শনিবার দুপুর ১২টায় সেটি নেমে এসেছে মাত্র ২.৪৭ মিটার নিচে, অর্থাৎ ১৮ ঘণ্টায় বেড়েছে প্রায় ২.৯৫ মিটার। শুধু সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৪৫ সেন্টিমিটার।
অন্যদিকে, শেওলা পয়েন্টেও একইভাবে বাড়ছে পানি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় যেখানে কুশিয়ারার পানি ছিল বিপৎসীমার ৪.০৪ মিটার নিচে, শনিবার সকাল ৬টায় তা দাঁড়ায় ৩.২৭ মিটার নিচে। বিকেল ৩টায় আরও বেড়ে তা হয় ২.৬৫ মিটার নিচে। অর্থাৎ ৯ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৬২ সেন্টিমিটার।
স্থানীয় প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নাগরিকদের বন্যা বিষয়ে সজাগ থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।