

রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আজ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “গত বুধবার মিটফোর্ড এলাকায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)সহ দেশের প্রতিটি মানুষ গভীর শোক ও নিন্দা প্রকাশ করেছে। দলীয়ভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, “এমন সময়েও দুঃখজনকভাবে দৈনিক যুগান্তর সরাসরি বিএনপিকে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—বিএনপির চাঁদাবাজির কারণেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। অথচ পুলিশ ও প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তেই জানা গেছে, ঘটনাটি মূলত ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে উদ্ভূত।”
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, এটি অপসাংবাদিকতার একটি ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত এবং রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে টার্গেট করার ষড়যন্ত্র। এ কারণে আমরা যুগান্তরের সম্পাদককে নোটিশ পাঠিয়েছি। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে যদি তিনি একই জায়গায়, একই কলামে এবং স্পষ্টভাবে ক্ষমা না চান, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার কায়সার আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিএনপিকে নানা রকম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে টার্গেট করা হচ্ছে। যেমন শেখ হাসিনার আমলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে টার্গেট কিলিং চালানো হতো, এখন সেই কৌশল নতুনভাবে ফিরে এসেছে। এরই অংশ হিসেবে এই বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।”
তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং বলেন, “স্বাধীন সাংবাদিকতা মানে সত্যনিষ্ঠতা, কিন্তু কারও রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হওয়া নয়।”