

সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে বারবার সরব হয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকে রাজপথ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া এই অভিনেত্রী এবার নিজের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের বিষয়ে নতুনভাবে মুখ খুলেছেন।
সম্প্রতি এক স্ট্যাটাসে বাঁধন লেখেন, “আমি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি, কিন্তু সেখানে মরতে রাজি নই। আমি এমন পৃথিবী দেখতে চাই না, যেখানে অধিকার নির্ধারিত হবে ক্ষমতার ভিত্তিতে, আর স্বাধীনতা হবে শর্তসাপেক্ষ।”
তিনি আরও জানান, “প্রতিটি মানুষের কথা বলার অধিকার এবং নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকা উচিত, যা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।”
এই বক্তব্য হঠাৎ কোনো আবেগ থেকে নয়, বরং দীর্ঘদিনের ভাবনার ফসল বলে জানিয়েছেন বাঁধন। তার ভাষায়, “আমি এমন পরিবারে বড় হয়েছি, যেখানে পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো চোখে পড়েছে। আমার নিজের বাবাও এই ব্যবস্থার অংশ ছিলেন।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি। আমার জীবন, আমার নিয়ম। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে? কখনও না, কোনোদিন না।”
এদিকে, ব্যক্তিজীবনের এই সাহসী অবস্থানের পাশাপাশি বড়পর্দায়ও আসছেন বাঁধন। ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। ২০০৯ সালে আজিমপুরে ঘটে যাওয়া এক বাস্তব হত্যাকাণ্ড অবলম্বনে নির্মিত এ সিনেমায় তিনি গোয়েন্দা পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ছবিটির অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমিত সেনগুপ্ত, সুষমা সরকার ও নিবিড় আদনান নাহিদসহ অনেকে।