

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৪৮টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এ কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে। মামলাগুলো পর্যালোচনার মাধ্যমে নিয়মিত সভা করে কমিটি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
বুধবার (২৮ মে) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ড. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কিছু রাজনৈতিক দল মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেও সেটি বাস্তবসম্মত নয়। আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি নিয়মিত বৈঠক করে মামলা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ পর্যন্ত ১৬টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে জেলা পর্যায়ের কমিটির প্রেরিত তালিকা এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পাঠানো কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ মামলার তালিকা ও প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিএনপি ২০২৫ সালের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলা এবং জামায়াতে ইসলামী ২০২৫ সালের ২৭ এপ্রিল ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা জমা দেয়। এসব মামলার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ইতোমধ্যেই কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে মামলার সাথে সংযুক্ত এজাহার ও চার্জশিট না থাকায় অবশিষ্ট মামলাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হচ্ছে।
অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মাত্র কয়েকদিন আগে, ২০ মে ২০২৫ তারিখে ৪৪টি মামলার তালিকা জমা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন তারা দ্রুত তাদের প্রেরিত মামলার তালিকার সাথে সংশ্লিষ্ট এজাহার এবং চার্জশিট সরবরাহ করে। এতে মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।