

পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দসহ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সরকারি অর্থায়নে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা, আর প্রকল্প ঋণ ও অনুদান হিসেবে প্রস্তাবিত ৮৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বা ৬.৪৮ শতাংশ বেশি এই এডিপির আকার।
সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল যোগ করলে এডিপির মোট পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
নতুন এডিপির মূল লক্ষ্য হলো টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
পরিবহন ও যোগাযোগ খাত পাবে সর্বোচ্চ ৫৮,৯৭৩ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩২,৩৯২ কোটি, শিক্ষা খাতে ২৮,৫৫৭ কোটি, গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাতে ২২,৭৭৬ কোটি এবং স্বাস্থ্য খাতে ১৮,১৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই পাঁচটি খাতেই মোট বরাদ্দের প্রায় ৭০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবে সর্বোচ্চ ৩৬,০৯৯ কোটি টাকা, এরপর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৩২,৩৩০ কোটি, বিদ্যুৎ বিভাগ ২০,২৮৪ কোটি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১৩,৬২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাবে।
নতুন এডিপিতে মোট ১,১৭০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার মধ্যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য ৭৯টি প্রকল্প এবং জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ২২৮টি প্রকল্প রয়েছে।