বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি জানান, করোনা মহামারি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে ২০২৪ সালেই এই উত্তরণ সম্ভব হতো।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “আমরা যে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পাচ্ছি, ২০২৬ সালের পরও তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে জানিয়েছে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সুবিধা দেবে। অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যও জানিয়েছে, গ্র্যাজুয়েশন হলেও বর্তমান সুবিধা বজায় থাকবে। চীনও একই ধরনের অঙ্গীকার করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে দুশ্চিন্তা রয়েছে, তা অনেকাংশেই দূর হয়েছে। এটা অনেকটা বোঝাপড়ার বিষয়। আমাদের প্লেন চলবে, ক্র্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে কোনো বড় ধরনের বাধা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নীতিমালার মধ্যে থেকেই কাজ করা হবে এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আগেভাগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
আনিসুজ্জামান বলেন, “ভিক্ষার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা এখন আর বিশ্ব দরবারে চাইবো না, বরং দেবো।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এলডিসি উত্তরণে পূর্ণ গতি ধরে রাখার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
এসময় জানানো হয়, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান ও নেপালের সঙ্গেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে নেপালের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron