গুগল ডিপমাইন্ড সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial General Intelligence বা AGI) তৈরি হতে পারে। তবে, এটি মানবজাতির জন্য একটি গুরুতর হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গবেষণার রিপোর্টে বলা হয়েছে, AGI-এর অপব্যবহার কিংবা ভুল পথে বিকাশ মানব সভ্যতার স্থায়ী ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। তবে, কিভাবে এটি ঘটতে পারে, সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়নি। এর পরিবর্তে, গবেষকরা এ ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
এজিআই-এর ঝুঁকি মোকাবেলা: অপব্যবহার ঠেকানোর উপায়
ডিপমাইন্ডের প্রতিবেদনটি AGI-র ঝুঁকিকে চারটি ভাগে ভাগ করেছে—অপব্যবহার, ভুল সিদ্ধান্ত, প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং কাঠামোগত সমস্যা। তবে, প্রতিষ্ঠানটির ঝুঁকি মোকাবেলার কৌশলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অপব্যবহার ঠেকানোর ওপর।
ডিপমাইন্ডের সিইও ডেমিস হাসাবিস পূর্বে মন্তব্য করেছেন, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে AGI সৃষ্টি হতে পারে। তিনি জাতিসংঘের মতো একটি বৈশ্বিক তদারকি সংস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। তার মতে, এটি সিইআরএন বা আইএইএ’র মতো একটি গবেষণা ও নজরদারি সংস্থা হতে পারে, যেখানে বিভিন্ন দেশ মিলে প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারের নীতিমালা নির্ধারণ করবে।
AGI: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরবর্তী ধাপ
AGI হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন একটি স্তর যা শুধু নির্দিষ্ট কাজ নয়, বরং মানুষের মতো করে বিভিন্ন কাজ শেখা, বোঝা এবং প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে। এটি প্রচলিত AI-এর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা, কারণ এটি অনেক বেশি জটিল এবং বহুমুখী কাজ করতে সক্ষম হবে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron