আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ৩৩৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে বহনকারী বাসের একটি বহর দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে পৌঁছেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সপ্তাহব্যাপী অচলাবস্থার পর এই বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হল। এর মধ্যদিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৪ ইসরায়েলিকে মুক্তি দিল হামাস।
বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ৩৮৩ ফিলিস্তিনি। বিপরীতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৭৪৯ ফিলিস্তিনি। গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর মধ্যে আটজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে প্রায় ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
সবশেষ বন্দি বিনিময়ের আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ এনে গত সোমবার অনির্দিষ্টকালের জন্য জিম্মি মুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় হামাস।
এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার মধ্যে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া না হলে যুদ্ধবিরতি বাতিল করা হবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু হবে।
এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে অচলাবস্থা এড়াতে মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতার পর শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে আরও তিন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসির একটি জায়গা থেকে তাদের আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন আয়ার হর্ন, সাগুই ডেকেল-চেন ও আলেকসান্দ্রে সাশা ত্রোফানভকে। এর কয়েক ঘণ্টা পর মুক্তি দেওয়া হয় ফিলিস্তিনি বন্দিদের। এর মধ্যে ৩৩৩ জনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। আর ৩৬ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron