

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি হাইকোর্টে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
আদালতে ডা. জুবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস. এম. শাহজাহান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
এর আগে, গত ১৪ মে হাইকোর্ট এই আপিল গ্রহণ করেন এবং জরিমানা স্থগিত করে ডা. জুবাইদা রহমানকে জামিন দেন। হাইকোর্ট একইসঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। আপিল দায়ের করতে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব হওয়ায় আদালত তা মার্জনা করেন।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমান এবং তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট ৯ বছর এবং ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
রায়ে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে ৩ বছর ও ২৭(১) ধারায় ৬ বছর এবং ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে, জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর লন্ডনে অবস্থান করার পর গত ৬ মে শাশুড়ি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে দেশে ফেরেন ডা. জুবাইদা রহমান।