

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অস্ত্রবাজারে রাশিয়ার অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে সমরাস্ত্র রফতানি ব্যাপক হারে বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে মস্কো। শুক্রবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
পুতিন বলেন, “আমাদের কাছে ক্রেতাদের বিপুল পরিমাণ অর্ডার জমে আছে। এসব অর্ডারের আর্থিক পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি ডলার। আমরা সেইসব চাহিদা পূরণ করব, আর এজন্য অস্ত্র উৎপাদন ও রফতানি আরও বাড়াতে হবে।”
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর রাশিয়া ব্যাপক হারে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলাবারুদের উৎপাদন বাড়ালেও, বেশিরভাগ অস্ত্রই সরবরাহ করা হয়েছে ইউক্রেনে যুদ্ধরত বাহিনীর জন্য। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ অস্ত্র রফতানির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
সুইডেনভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি) বলছে, ২০২০-২০২৪ সময়কালে রাশিয়ার অস্ত্র রফতানি ৭.৮% হ্রাস পেয়েছে। অথচ তার আগের পাঁচ বছরে (২০১৫–২০১৯) এই হার বেড়েছিল ১৪%-এরও বেশি।
পুতিন তার ভাষণে ভবিষ্যতের অস্ত্র প্রযুক্তি নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (AI-powered) সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানো হবে। “ভবিষ্যতের অস্ত্রবাজারে আধিপত্য করবে প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র। সেই প্রতিযোগিতায় রাশিয়া অংশ নিতে প্রস্তুত,” বলেন পুতিন।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী পরিণতি সামলাতে এবং রাশিয়ার যুদ্ধশক্তির অর্থনৈতিক চাপ কমাতে অস্ত্র রফতানি বাড়ানোর দিকেই ঝুঁকছে মস্কো। তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।