

জুলাই-আগস্টে ঢাকায় গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চাঁনখারপুলে ছয়জন নিরীহ নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পলাতক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার (২৫ মে) এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারকগণ। এদিন মামলার শুনানির শুরুতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের বিবরণ তুলে ধরে বলেন, “চাঁনখারপুল গণহত্যায় সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। মাঠ পর্যায়ে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নে ছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।”
প্রসিকিউটর বলেন, “এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং গণআন্দোলন দমন করতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের একটি নগ্ন উদাহরণ। তাই এ মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করি।”
ট্রাইব্যুনাল এদিন আটজন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র আমলে নেয় এবং পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযুক্তরা হলেন—
- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান (পলাতক)
- সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী (পলাতক)
- রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম (পলাতক)
- রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল (পলাতক)
- শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন (গ্রেফতারকৃত)
- কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন (গ্রেফতারকৃত)
- ইমাজ হোসেন ইমন (গ্রেফতারকৃত)
- মো. নাসিরুল ইসলাম (গ্রেফতারকৃত)
চারজন পলাতক থাকলেও বাকি চার আসামিকে রবিবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় সংঘটিত গণহত্যা মামলাটি জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ধরা হচ্ছে। এই মামলা আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক গুরুত্ব বহন করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।