

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী লংডিং জেলায় ফের বিদ্রোহী তৎপরতায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) শুরু হওয়া টানা গোলাগুলির ঘটনায় নাগা বিদ্রোহী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং-ইউংআং)-এর দুই সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
সেনা সূত্রের বরাতে ভারতের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই দুর্গম অঞ্চলে সেনা ও আসাম রাইফেলসের যৌথ টহল দল হামলার মুখে পড়ে। পাল্টা অভিযানে বিদ্রোহীরা পিছু হটলেও, ঘটনাস্থলে দুই নিহতের মরদেহ, একটি একে-৪৭, একটি এম-৪ রাইফেল ও একটি গ্রেনেড লঞ্চার ফেলে যায়।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো বিশেষ করে অরুণাচল, নাগাল্যান্ড ও মণিপুর—যাদের মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথভাবে প্রায় ১৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, সেখানে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধ ও অস্থিতিশীলতার কারণে সীমান্তজুড়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। এতে করে সীমান্ত রক্ষায় ভারতের সেনাবাহিনী নজরদারি ও উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে।
নাগা বিদ্রোহী সংগঠন NSCN (IM) এর সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দীর্ঘদিনের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি রয়েছে, তবে খাপলাং গোষ্ঠী—বিশেষ করে NSCN (K-Yung Aung)—এর সঙ্গে সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ। ২০১৭ সালে গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা এসএস খাপলাং-এর মৃত্যুর পর সংগঠনটি একাধিক উপগোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়, যার মধ্যে Yung Aung-এর নেতৃত্বাধীন অংশটি মিয়ানমার সীমান্ত ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সক্রিয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের ভেতরে বিদ্রোহী ঘাঁটিগুলোর জন্য নিরাপদ আশ্রয় থাকায় এই গোষ্ঠীগুলোর সীমান্তবর্তী ভারতীয় অঞ্চলগুলোতে আক্রমণ চালানো সহজ হচ্ছে। অরুণাচলের মতো দুর্গম এলাকায় এ ধরনের সংঘর্ষ ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করছেন তারা।