“শাপলা ছাড়া বিকল্প নেই”— ইসি পুনর্গঠন ও প্রতীক বরাদ্দে এনসিপির দাবি

print news
img

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জাতীয় প্রতীক ‘শাপলা’কে নির্বাচন কমিশনের প্রতীক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় ‘নৌকা’ প্রতীককে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।

রবিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব দাবি তুলে ধরেন এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল।

দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা।

ইসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অনেকে নিরপেক্ষতার বদলে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। নির্বাচনের আগে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ইসি পুনর্গঠন জরুরি। আমরা ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়েই পুনর্গঠন দেখতে চাই।”

শাপলা প্রতীক নিয়ে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা

তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি—শাপলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এটি আমাদের দলের পরিচয় ও সাংগঠনিক প্রতীক। আইনি দিক দিয়ে কোনো বাধা নেই, কিন্তু নির্বাচন কমিশন জাতীয় প্রতীক হিসেবে দেখিয়ে তালিকাভুক্ত করছে না। এটা হলে আমরা রাজনৈতিকভাবেও লড়ব, প্রয়োজনে আইনি লড়াইও করব।”

নৌকা প্রতীক নিয়ে আপত্তি

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকা অবস্থায়ও তাদের প্রতীক ‘নৌকা’ এখনো তালিকাভুক্ত রয়েছে, যা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।”

ত্রয়োদশ নির্বাচনের প্রস্ত্ততি ও প্রবাসী ভোটার প্রসঙ্গ

বৈঠকে আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার খসড়া ও প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে করণীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। বর্তমানে ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

এনসিপি এর আগে ২২ জুন দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’র পাশাপাশি ‘কলম’ ও ‘মোবাইল’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করে। তবে নির্বাচন কমিশন শাপলাকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে গণ্য করে তালিকাভুক্ত করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *