

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা চালানোর জন্য তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আগামী সপ্তাহে রাশিয়া সফর করবেন। স্থানীয় সময় রবিবার (৩ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প জানান, উইটকফ আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার রাশিয়া পৌঁছাবেন।
ট্রাম্প আরও জানান, রুশ সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে অনলাইনে বাকবিতণ্ডার পর রাশিয়া দুইটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করেছে, যা বর্তমানে ‘ওই অঞ্চলে’ অবস্থান করছে। তবে সাবমেরিন দুটি পারমাণবিক-শক্তিচালিত নাকি পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত, তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীও এসব সাবমেরিনের অবস্থান গোপন রেখেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য ট্রাম্প নির্ধারিত সময়সীমার পটভূমিতে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র মহড়া শুরু করেছে এবং নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারে। এর আগে ট্রাম্প একাধিকবার রাশিয়া সফর করেছেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্প জানান, উইটকফ মস্কোর কাছে যাওয়া বার্তায় নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রাশিয়ার করণীয় বিষয় আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘মানুষের মৃত্যুর অবসান ঘটাতে হলে এমন একটি চুক্তি সম্ভব।’
ট্রাম্প পূর্বে হুমকি দিয়েছিলেন, নতুন পদক্ষেপের আওতায় রাশিয়ার বাণিজ্য অংশীদার যেমন চীন ও ভারতকে ‘দ্বিতীয় শুল্ক’ আরোপ হতে পারে, যা রাশিয়াকে আরো দমিয়ে রাখবে, তবে তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার এই আক্রমণ অব্যাহত থাকলেও পুতিন যুদ্ধবিরতির জন্য শর্তসহ আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শান্তির ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ত্যাগ ও ন্যাটোর উচ্চাকাঙ্ক্ষা বন্ধ করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে— এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু যুদ্ধ তীব্রতর হচ্ছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পুতিনের প্রতি তার হতাশা প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা।