শান্তি ও ধৈর্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান মঈন খানের

print news
img

স্টাফ রিপোর্টার

আওয়ামী লীগের হিংসা, বিদ্বেষ ও দমন-পীড়নের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে আগামীতে শান্তির রাজনীতি ও ধৈর্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতিন চৌধুরীর স্মরণ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

মঈন খান বলেন, “আমি মতিন চৌধুরীর প্রশংসা করি। দীর্ঘ ত্রিশ বছরে প্রমাণ হয়েছে তার চিন্তাধারাই সঠিক। এ শীতলক্ষ্যার ওপর ব্রিজ করতে তিনি আমাকে পত্র দিয়েছিলেন। রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এ ব্রিজ তিনিই করেছিলেন, আমাকে চিঠি দিয়েছিলেন। আমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার সময় নিজের হাতে এ চিঠি তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলাম। অথচ এ ব্রিজটির নাম মতিন চৌধুরীর নামে হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমি দাবি জানাই, আপনারাও দাবি করবেন—এ ব্রিজের নাম যেন মতিন চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয়। ভোলাব ইউনিয়ন আমাদের প্রতিবেশী। আমি বলেছি নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ আমরা প্রতিবেশী, ভাই ভাই।”

মঈন খান উল্লেখ করেন, মতিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ও ভোলাব ইউনিয়নের প্রায় বিশ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন মানিক চেয়ারম্যান। “আমি, তিনি ও মতিন চৌধুরী একসঙ্গে গল্প করতাম। এ সংযোগ আজকের দিনে দুর্লভ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি বলেন, মতিন চৌধুরীর আদর্শ ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। “বেগম জিয়া আমাদের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিক্ষা দেননি। তিনি আমাদের সহাবস্থান শিখিয়েছেন। তারেক রহমানও আমাদের নেতা, তিনিও আমাদের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিক্ষা দেননি। রাজনীতি হবে সহাবস্থানের, বন্ধুত্বের।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, “আমরা চাই এ সরকার জনগণের প্রতি যে আশ্বাস দিয়েছে, সেটার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করুক। আমরা আশা করছি আগামী রমজানের আগেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *