গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড: রাজনৈতিক স্মারক পুড়ে ছাই

print news

img

ময়মনসিংহের গফরগাঁও বিএনপির আহ্বায়ক প্রয়াত নাজমুল হকের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ভোররাতে যশরা ইউনিয়নের ভারইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি টের পাওয়া যায়নি। পরে প্রতিবেশীরা আগুনের শিখা দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

প্রতিবেশী শেফালী বেগম বলেন, “আমি ছোট ছোট চার সন্তান নিয়ে পাশের খুপরি ঘরে থাকি। ভোররাতে আগুনের তাপে ঘুম ভাঙলে সন্তানদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করি। কিন্তু ততক্ষণে কিছুই রক্ষা করা যায়নি।”

নাজমুল হকের পরিবার জানায়, ওই বাড়িতে বিএনপির পুরোনো কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নথি, রাজনৈতিক সংগ্রামের স্মৃতি ও ঐতিহাসিক দলীয় ডকুমেন্টস সংরক্ষিত ছিল। আগুনে সব পুড়ে যায়, আসবাবপত্র থেকে শুরু করে কিছুই অবশিষ্ট নেই।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, নাজমুল হক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯৭ সালে তাঁকে দেখতে এই বাড়িতে আসেন। তাঁদের দাবি, এই অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত হামলা, যার লক্ষ্য বিএনপির ইতিহাস মুছে ফেলা।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, “এটি বিএনপির ইতিহাস মুছে ফেলার পরিকল্পিত হামলা। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”
এছাড়াও ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এবি সিদ্দিকুর রহমানের নির্দেশক্রমে শাহ আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে যান , ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য মুশফিকুর রহমান নাজমুল হকের ছোট ছেলে ফোনকলে খুজ খরব নেন, ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য ও পাগলা থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মোফাখখারুল ইসলাম রানা ও মনয়নসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য পাগলা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এডভোকের আল ফাত্তাহ খান, ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ফজলুল হক  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং খুজ খবর নেন ।

প্রয়াত নাজমুল হকের বড় ছেলে, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুল হক বলেন, “আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।” ছোট ছেলে নাদিমুল হক বলেন, “আমরা শুধু ঘর হারাইনি, হারিয়েছি বিএনপির রাজনৈতিক সংগ্রামের স্মারক। এটি নিছক আগুনের ঘটনা নয়, এটি বিএনপির অস্তিত্বের ওপর আঘাত।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল) মনতোষ বিশ্বাস গফরগাঁও থানা অফিসার ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া, তদন্ত ওসি রহিম মিয়া, এসআই সুমন মিয়া ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *