বগুড়া সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শ্রমিক সমাজের আস্থার এক অনন্য নাম

print news

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

Img

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের রাজনীতির মাঠে মোঃ আশরাফুল ইসলাম আজ এক আস্থার নাম, সংগ্রামের প্রতীক এবং শ্রমিক সমাজের ভরসার ঠিকানা। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল বগুড়া সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি এবং নামুজা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শ্রমিক রাজনীতির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে তিনি শ্রমিকদের পাশে থেকেছেন, লড়াই করেছেন এবং অর্জন করেছেন অকৃত্রিম ভালোবাসা।

মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাহসী নেতৃত্বকে অনুসরণ করে এবং দেশনেতা তারেক রহমানের তারুণ্যের রাজনীতিকে সামনে রেখে আশরাফুল ইসলাম তার শ্রমিক রাজনীতির যাত্রা শুরু করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, শ্রমিক রাজনীতি কেবল একটি সাংগঠনিক দায়িত্ব নয়, বরং এটি শ্রমিক সমাজের অধিকার রক্ষার মহান সংগ্রাম।

বগুড়া জেলা বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি, সাবেক সফল পৌর মেয়র মোঃ রেজাউল করিম বাদশা এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে তিনি সবসময় রাজপথে থেকে আন্দোলনকে শক্তিশালী করেছেন। পাশাপাশি বগুড়া জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিটুলের আস্থাভাজন সহযোদ্ধা হিসেবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় যে কোনো কর্মসূচি বা আন্দোলনে তিনি সর্বাগ্রে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

আশরাফুল ইসলামের কর্মময় জীবনে যেমন আছে সাফল্যের গল্প, তেমনি রয়েছে ত্যাগের ইতিহাসও। আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে তিনি কোষাধ্যক্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। খুব অল্প ভোটে তিনি পরাজিত হন, কিন্তু এই পরাজয় তাকে হতাশ করেনি। বরং শ্রমিকরা আরও বেশি করে উপলব্ধি করেছেন— আশরাফুল ইসলাম ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়, শ্রমিক স্বার্থের জন্য লড়াই করেন। তাই ভোটে হেরে গিয়েও শ্রমিক সমাজের অকৃত্রিম ভালোবাসা তিনি আগের চেয়েও বেশি অর্জন করেছেন।

তার নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো বিনয়, সততা এবং মানবিকতা। একজন শ্রমিকের সমস্যা হলে তিনি প্রথমেই এগিয়ে যান এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। দিন-রাত পরিশ্রম করে শ্রমিকদের পাশে থাকা, তাদের সুখ-দুঃখে অংশ নেওয়া তাকে শ্রমিকদের কাছে কেবল নেতা নয়, অভিভাবক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছে।

রাজপথে প্রতিটি আন্দোলনে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন সাহসী সৈনিক হিসেবে। যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতেও আশরাফুল ইসলাম পিছপা হননি। তার এই সংগ্রামী চেতনা তরুণ শ্রমিকদের মধ্যে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের শ্রমিকরা তার আদর্শকে অনুসরণ করছে এবং শ্রমিক রাজনীতিতে নিজেদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আগ্রহী হচ্ছে।

তিনি মনে করেন, শ্রমিকদের ঐক্যই সংগঠনের আসল শক্তি। শ্রমিকরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে তাদের অধিকার কখনোই কেড়ে নেওয়া সম্ভব নয়। আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শ্রমিক সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ— এই বার্তাই তিনি সর্বত্র প্রচার করে যাচ্ছেন।

মোঃ আশরাফুল ইসলাম নিঃসন্দেহে বগুড়া সদর উপজেলার শ্রমিক সমাজের আস্থার প্রতীক। তার অকৃত্রিম শ্রমিকপ্রেম, সংগ্রামী মনোভাব এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতৃত্ব প্রমাণ করেছে— প্রকৃত নেতা হতে হলে পদ-পদবি নয়, প্রয়োজন শ্রমিকদের পাশে থেকে তাদের অধিকার রক্ষায় সার্বক্ষণিকভাবে লড়াই করা। শ্রমিকদের ভালোবাসা ও বিশ্বাসই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, আর এই ভালোবাসাই তাকে ভবিষ্যতের পথচলায় আরও দৃঢ় করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *