
এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

কাহালু উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ও আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে, যোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে নির্বাচন হবে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উন্নয়নমুখী। নজরকাড়া বিষয় হলো, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখনও হয়নি, তবুও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এই আলোচনায় একটি নাম বিশেষভাবে উঠে এসেছে—আ.খ.ম. তোফাজ্জল হোসেন আজাদ। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত এবং বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে যুব রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনি কাহালু উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে কাহালু উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক পদে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কাহালু উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান এবং ৫নং মুরইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয়রা মনে করেন, এই ধরণের অভিজ্ঞ নেতৃত্ব প্রশাসনিক দক্ষতা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক।
উপজেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিজ্ঞতা, সততা এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক যে কোনো নির্বাচনী প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। ভোটাররা মনে করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীর কর্মপরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন ক্ষমতা ভোটের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলে।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, প্রার্থীরা যদি তাদের পরিকল্পনা ভোটারদের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন, তাহলে নির্বাচনী লড়াই হবে প্রকৃত অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং জনগণের উন্নয়নমুখী প্রত্যাশা পূরণের সুযোগ তৈরি হবে।
কাহালুর ভোটাররা আশা করছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা শুধু প্রতিশ্রুতি দেবেন না, বরং দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবেন। স্থানীয় উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অবকাঠামোর উন্নয়ন—এসব ক্ষেত্রে প্রার্থীদের কার্যকর ভূমিকা ভোটারদের কাছে মূল বিবেচ্য বিষয়।
রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে কারণ এখনো চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা হয়নি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠপর্যায়ে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ শুরু করেছেন।
নিরপেক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, কাহালু উপজেলার ভোটাররা এমন প্রার্থীদের দিকে বেশি আকৃষ্ট হবেন, যারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন না, বরং তাদের কর্মজীবনের ধারাবাহিকতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উন্নয়নমুখী কাজ বাস্তবায়নে সক্ষম। এজন্য স্থানীয় জনগণ এবং রাজনৈতিক তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আলোচনা করছেন যোগ্য প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে।
উপজেলা পর্যায়ের এই নির্বাচনে কার্যকর নেতৃত্বের গুরুত্ব কেবল ভোটের দিন সীমাবদ্ধ নয়; এটি ভবিষ্যতের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকরতা বৃদ্ধিতেও বড় প্রভাব ফেলবে। এ কারণে কাহালুতে নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম আলোচনা এবং সচেতন ভোটারদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে।