

মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১,৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও উদ্ধার কাজ চলছে ধীরগতিতে। আহতদের চিকিৎসা ও উদ্ধারের কাজ সবচেয়ে জরুরি হলেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে দেশটির সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
ভূমিকম্পে রাস্তাঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ, সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সংঘাতের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, দেশটিতে চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, যা উদ্ধার প্রচেষ্টাকে আরও কঠিন করে তুলছে।
এদিকে, সামরিক জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য বিরল আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলো ত্রাণ পাঠাতে শুরু করেছে, তবে বিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (NUG) বলছে, সকল সহায়তা যেন স্বাধীনভাবে এবং স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে অনেক মানুষ রাত কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। বিশেষ করে মান্দালয়ের ঐতিহাসিক অনেক ভবন ধ্বংস হয়ে যাওয়ায়, স্থানীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে রয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবিতদের সন্ধান করছেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।