

জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশের রাজনীতিতে তরুণদের নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। একসময় তরুণদের রাজনীতিবিমুখ মনে করা হলেও, এই বিপ্লব প্রমাণ করেছে যে তারা দেশ ও জনগণের কল্যাণে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। স্বৈরাচারের পতনের মাধ্যমে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জনগণের বিজয় নিশ্চিত করেছে।
জুলাই বিপ্লবের পর তরুণরা শুধু আন্দোলনেই সীমাবদ্ধ থাকেননি; বরং তারা অন্তর্বর্তী সরকারে অংশগ্রহণ করেছেন এবং নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ গঠন করেছেন। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—তাদের এই রাজনৈতিক উত্থান দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না? অতীতে তরুণদের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে, কিন্তু বিভ্রান্তি ও ভুল পথের কারণে তা টিকে থাকেনি।
তরুণদের সামনে আদর্শের প্রয়োজন, যেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান হতে পারেন অনুকরণীয় উদাহরণ। ইউনূস কেবল বাংলাদেশের নয়, বিশ্বজুড়ে তরুণদের অনুপ্রেরণা। তিনি আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা দিয়ে তরুণদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। অন্যদিকে, তারেক রহমান তৃণমূলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন, যদিও তাকে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে।
জুলাই বিপ্লবের তরুণদের জন্য তারেক রহমানের ধৈর্য ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা অনুকরণীয় হতে পারে। তিনি প্রবীণ ও নবীনদের সমন্বয় ঘটিয়ে দলকে শক্তিশালী করেছেন, যা আজকের তরুণ নেতৃত্বের জন্য শিক্ষণীয়। একই সঙ্গে, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের মুখেও কীভাবে ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হয়, সে দৃষ্টান্তও রেখেছেন তিনি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তরুণদের এই নতুন ধারা টিকে থাকবে কি না, তা নির্ভর করবে তাদের ধৈর্য, দূরদর্শিতা এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতার ওপর। তারা যদি সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে, তবে তাদের হাত ধরেই গড়ে উঠতে পারে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।