

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক দিন আগে ইরানের ওপর বোমা হামলার হুমকি দিয়েছিলেন, তবে পরবর্তীতে তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করে ইরানের সঙ্গে সরাসরি পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ইরান প্রথমে মধ্যস্থতাকারী ব্যবহার করে আলোচনায় বসতে চাইলেও এখন তাদের অবস্থান বদলেছে বলে মনে হচ্ছে। সরাসরি আলোচনা করা হলে দ্রুত সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব এবং একে অপরকে ভালোভাবে বোঝা যাবে, বলেও তিনি জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ মন্তব্যের আগে, গত কয়েক দশক ধরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু ইস্যুতে উত্তেজনা চলছিল। ২০১৫ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি সই হয়েছিল, তবে ২০১৮ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদকালে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন। এতে ওয়াশিংটন ও তেহরানের সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে ওঠে।
এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প নতুন চুক্তির জন্য ইরানকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। গত মার্চে তিনি পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে তেহরানের কাছে চিঠি পাঠালেও ইরান তা ফিরিয়ে দেয়। এরপর ট্রাম্প হুমকি দেন, যদি ইরান নতুন পরমাণু চুক্তিতে সম্মত না হয়, তবে তিনি ইরানে বোমা হামলা চালাবেন।
তবে ইরান এই হুমকিকে গুরুত্ব দেয়নি। বরং পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেন, মার্কিন হুমকির কাছে ইরান মাথা নত করবে না এবং ইরানে হামলা হলে তার কঠিন জবাব দেয়া হবে।
এদিকে, ইরান জানায়, তারা সরাসরি আলোচনা নয়, বরং পরোক্ষভাবে কূটনৈতিক বার্তা বিনিময়ে আগ্রহী। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতি অন্য পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবে না।”