

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, মহাকাশে শান্তিপূর্ণ এবং টেকসই অনুসন্ধানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে এই চুক্তিতে যুক্ত হওয়ায় তারা আনন্দিত।
গত ৮ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন। এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহাকাশ সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা করল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী ও টেকসই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ককে সামনে রেখে মহাকাশ অন্বেষণে পারস্পরিক সহযোগিতা আগামী দিনে আরও গভীর হবে। বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে এই অংশীদারিত্ব নতুন মাত্রা পাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালে সাতটি দেশের সঙ্গে মিলে আর্টেমিস অ্যাকর্ড চালু করে। এটি মহাকাশে দায়িত্বশীল ও টেকসই অনুসন্ধান নিশ্চিত করতে একটি ব্যবহারিক নীতিমালার সংকলন। বাংলাদেশসহ বর্তমানে ৫৪টি দেশ এই চুক্তিতে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, জাপান, ফ্রান্স, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিলসহ অনেক রাষ্ট্র। চুক্তির বাস্তবায়নে মূল নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং নাসা।
এই ঐতিহাসিক স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক মহাকাশ উদ্যোগে এক নতুন মাত্রা যোগ করল। চুক্তিটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মহাকাশ প্রযুক্তি ও গবেষণায় অগ্রগতির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।