

রাজধানীর বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে সবজির দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি যেমন বেগুন, করলা, পটল, বরবটি, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, সজনে, কচুর লতি এবং কাঁচা আমের দাম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছাড়াই আগের মতোই রয়েছে। শাকপাতার মধ্যেও লাল শাক, পালং শাক, কলমি, পুঁই, লাউ শাকের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই আছে। এছাড়া আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডাল ও চালের বাজারেও বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
অন্যদিকে মুরগির বাজারে বেশ কিছুটা স্বস্তি নেমে এসেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি কক ও হাইব্রিড মুরগির দাম কেজিতে ৪০–৫০ টাকা কমে যথাক্রমে ২৭০ ও ২৫০ টাকা হয়েছে। দেশি মুরগির দামও কিছুটা কমে এখন ৬৩০ টাকায় পৌঁছেছে। লাল ও সাদা লেয়ার মুরগির দামেও ২০–৩০ টাকার পতন দেখা গেছে। ডিমের বাজারেও দাম কিছুটা স্থিতিশীল। লাল ডিম ডজনপ্রতি ১২৫ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম হালি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাছের বাজার কিছুটা চড়া। আসন্ন পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ইলিশ মাছের দাম বেড়ে বর্তমানে কেজিতে ১,২০০ থেকে ২,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছ যেমন দেশি মাগুর, শিং, রুই, কাতল, পাবদা, বোয়াল, চিংড়ি ও বাইমের দামেও উর্ধ্বগতি দেখা গেছে। তেলাপিয়া ও কইয়ের মতো সাধারণ মাছও এখন ২২০–২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংসের কেজি ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১,১৫০ থেকে ১,২০০ টাকা এবং গরুর কলিজা, মাথা ও বটের দাম আগের মতোই রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এই চিত্র থেকে বোঝা যাচ্ছে, সবজির বাজার তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক হলেও মাছের বাজার এখনো সাধারণ ভোক্তাদের জন্য কিছুটা চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।