

ভোরের ঝড় ও বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হলেও গাইবান্ধা পৌরপার্কের বিজয়স্তম্ভ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘চর ও জীবন’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিন ছিল জমজমাট। সকালবেলা ঝড়ের তাণ্ডবে প্রদর্শনীর প্যান্ডেল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও মানুষের আগ্রহে ভাটা পড়েনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে শুরু হলেও দুপুরের পর থেকেই শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে প্রদর্শনী মেলায় রূপ নেয়।
আলোকচিত্রী কুদ্দুস আলমের ক্যামেরায় ধারণ করা এই প্রদর্শনীতে চরাঞ্চলের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনের রূঢ় বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। সঙ্গে রয়েছে জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের মুহূর্তগুলো এবং গাইবান্ধায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভের ছবিও।
তুলসীঘাট থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী তাবাসসুম মুম ও তার তিন বান্ধবী জানান, চরের জীবনের নানা গল্প বাস্তবে দেখলেও ছবি হয়ে দেখে অন্যরকম অনুভূতি হয়েছে তাদের। অনেক দর্শকই তাদের মতো একই অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।
দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণে রবিবার বিকেলে আয়োজন করা হয় একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, যেখানে অংশ নেয় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী। বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে প্রদর্শনীর শেষদিনে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. শহিদুল আলম শনিবার এই তিনদিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। ‘সৃজনশীল গাইবান্ধা’র আয়োজনে এবং সু প্যালেস ও ফ্যাশন প্যালেসের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনী চলছে দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতিতে।