নাসা থেকে বরখাস্ত নীলা রাজেন্দ্র: ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বন্ধ ডিইআই কার্যক্রম

print news
img

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সম্প্রতি বরখাস্ত করেছে ডাইভারসিটি, ইকুইটি ও ইনক্লুশন (ডিইআই) বিভাগের প্রধান, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীলা রাজেন্দ্রকে। এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া একটি নির্বাহী আদেশ, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এই ধরনের কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) থেকে কর্মীদের কাছে পাঠানো এক ই-মেইলে জানানো হয়, নীলা রাজেন্দ্র এখন আর জেপিএলের সঙ্গে যুক্ত নন। জেপিএল-এর পরিচালক লরি লেশিন বার্তায় লেখেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার অবদান ছিল গভীর ও স্থায়ী। আমরা তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।”

তবে এটি ছিল না কোনো আকস্মিক সিদ্ধান্ত। দীর্ঘদিন ধরে ডিইআই কার্যক্রম বন্ধের অংশ হিসেবে নাসা বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাই শুরু করে, যেখানে প্রায় ৯০০ কর্মী চাকরি হারান। তখনও নীলার পদ অক্ষত রাখা হয়—তার পদবি পরিবর্তন করে নতুন বিভাগে স্থানান্তর করা হয়, যদিও কাজের ধরন ছিল আগের মতোই। অবশেষে, ২০২৪ সালের মার্চে নাসা যখন পুরোপুরি ডিইআই কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়, তখন নীলা রাজেন্দ্রকেও চাকরি ছাড়তে হয়।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে দাবি করা হয়, ডিইআই প্রোগ্রামগুলো জাতি, লিঙ্গ ও বর্ণের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টি করছে, করদাতাদের অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে এবং বৈষম্যের জন্ম দিচ্ছে। এই ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থা একে একে এমন কর্মসূচি বাতিল করছে।

নাসার মতো বৈজ্ঞানিক, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি সংস্থা থেকে এমন একজন কর্মকর্তা বরখাস্ত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ডিইআই নীতির ভবিষ্যৎ ও প্রভাব নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।

সূত্র: এনডিটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *