

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আবারও কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে অনুপ্রাণিত এবং ‘সন্ত্রাসবাদ সমর্থনকারী অসুস্থতা’ ছড়ানোর অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির করমুক্ত মর্যাদা বাতিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
রোববার (স্থানীয় সময়) ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “হার্ভার্ড যদি রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত/সমর্থনকারী ‘অসুস্থতা?’ প্রচার চালিয়ে যেতে থাকে তবে তাদের করমুক্ত মর্যাদা বাতিল করে রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে কর আরোপ করা উচিত।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “করমুক্ত মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে জনস্বার্থে কাজ করার উপর নির্ভরশীল।”
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন জারি করা ফেডারেল নির্দেশিকা মানতে অস্বীকৃতি জানানোয় হার্ভার্ডের জন্য নির্ধারিত ২.২ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল অনুদান এবং ৬০ মিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, “হার্ভার্ড অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। একাডেমিক স্বাধীনতা রক্ষায় এটি একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।” তিনি আরও বলেন, “এই পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে যেন শিক্ষার্থীরা অনুসন্ধান, বিতর্ক ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধসম্পন্ন পরিবেশে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে।”
হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশনা একাডেমিক স্বাধীনতার জন্য হুমকি। এসব নির্দেশনার মধ্যে ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবেলার নামে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বাছাইয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ছিল বলে দাবি করেছে তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মাসে গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দেখা দেয়। ট্রাম্প প্রশাসন এই আন্দোলনগুলোকে ইহুদিবিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত করে হার্ভার্ডসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। গত মাসেই হোয়াইট হাউজ হার্ভার্ডের প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল অনুদান ও চুক্তি পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছিল।