

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) পনেরোটি দেশের অংশগ্রহণে একটি কাল্পনিক নতুন মহামারী ‘ম্যামথপক্স’ মোকাবিলার সিমুলেশন পরীক্ষা করেছে। সাড়ে তিনশ’র বেশি জরুরি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দুই দিনের এই মহড়ায় অংশ নেন, যেখানে তাঁরা ভাইরাসটির বিস্তার রোধে কীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা পরীক্ষা করেন।
ম্যামথপক্স নামক ভাইরাসটি গুটিবসন্ত এবং মাঙ্কিপক্সের মতো উদ্ভাবিত এক ধরনের ভাইরাস, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম এবং প্রাণঘাতী। সিমুলেশনে দেখানো হয়েছে, হিমায়িত আর্কটিক টুন্ড্রায় একটি পশমী ম্যামথের দেহাবশেষ আবিষ্কৃত হওয়ার পর এই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঘটে।
অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো- কানাডা, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডেনমার্ক, ইথিওপিয়া, জার্মানি, ইরাক, সৌদি আরব, মোজাম্বিক, নেপাল, পাকিস্তান, কাতার, সোমালিয়া, উগান্ডা এবং ইউক্রেন। এছাড়া আরও কিছু দেশ ছিল পর্যবেক্ষক হিসেবে।
প্রতিটি দেশকে একটি ধাঁধা দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা ভাইরাসের বিস্তার রোধে তথ্য ভাগাভাগি এবং সহযোগিতা করতে পারে। মহড়ার দ্বিতীয় দিনে, বিভিন্ন দেশের মধ্যে কৌশলগত ভিন্নতা এবং রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে ভাইরাসের বিস্তার রোধে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ‘এক্সারসাইজ পোলারিস’ নামে পরিচিত এই মহড়া, কোভিড-১৯ এর বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেখার পরবর্তী মহামারী মোকাবিলায় দেশগুলো কতটা প্রস্তুত তা পরীক্ষা করতে সহায়তা করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম বলেছেন, “এই অনুশীলন প্রমাণ করেছে যে, বিশ্ব একত্রে কাজ করলে মহামারী মোকাবেলা করা অনেক সহজ হয়। এটি দেখিয়ে দিয়েছে যে, বৈশ্বিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”