

দেশে খাদ্য মজুদ বাড়াতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ চাল আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪০ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের মেসার্স পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট কোম্পানি থেকে চালগুলো আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৯৪.৭৭ ডলার।
এর আগেও চলতি অর্থবছরে কয়েক দফায় চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেগুলো হলো:
- ৮ এপ্রিল: সিঙ্গাপুরভিত্তিক মেসার্স অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল থেকে ৫০ হাজার টন চাল (ব্যয়: ২৫৪ কোটি ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা)
- ২৭ মার্চ: ভারতের মেসার্স বগাদিয়া ব্রাদার্স থেকে ৫০ হাজার টন চাল (ব্যয়: ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা)
- ১৪ মার্চ: আবারও পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট থেকে ৫০ হাজার টন চাল (ব্যয়: ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার)
- ২০ ফেব্রুয়ারি: বগাদিয়া ব্রাদার্স থেকে ৫০ হাজার টন চাল (ব্যয়: ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার)
এছাড়া আরও আগে ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম থেকেও চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ১ লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে এবং ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে দেশের মোট চাল চাহিদা ৩৯.৭৮ লাখ মেট্রিক টন, যার মধ্যে ৯ লাখ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে।