

লেখক ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘এ গণ অভ্যুত্থান আমাদের নতুন রাষ্ট্র গঠনের দিকে নেয় নাই। গণ অভ্যুত্থানের শেষে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান বহাল রাখা হয়েছে। তা ঠিক বলে মনে করি না। এ সংবিধানের অধীনের সরকারকে বৈধ মনে করি না। আমি জনগণের পক্ষে কথা বলি। এ সরকারের পক্ষে সব সময় থাকার প্রশ্নই আসে না। সকল প্রকার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ইমাজিনেক্সট ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জাতীয় সংস্কৃতি : প্রেক্ষিতে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ইমাজিনেক্সট ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র মুহাম্মদ ইমতিয়াজ। ধারণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাফর ফিরোজ। আলোচনায় আরও অংশ নেন শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ অনেকে।
শিক্ষার্থীদের ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-কে ‘দেশের নতুন গঠনতন্ত্র’ বলে অভিহিত করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘সংবিধান মানে আইন। ইংরেজ আইন প্রণয়ন করে, জনগণ গঠনতন্ত্র করে। সংবিধান মানেই হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন। আপনি যদি লুটেরাদের পক্ষে থাকেন, তবে আপনি একটি শাসনতন্ত্র বানিয়ে তা দিয়ে গরিবদের শোষণ করবেন, সাধারণ মানুষকে দমন করবেন। এই ব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গঠনতন্ত্র মানে জনগণ নিজেরা অংশগ্রহণ করে নিজেদের শাসনের কাঠামো দাঁড় করায়। সেই নতুন কাঠামো তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমরা গণতন্ত্রে প্রবেশ করতে পারব না। তাই আন্দোলনের গন্তব্য হতে হবে জনগণের দ্বারা রচিত একটি নতুন রাষ্ট্রকাঠামো ও শাসনব্যবস্থা।’
সভায় অংশগ্রহণকারীরা বর্তমান সময়ে সংস্কৃতি, রাষ্ট্র ও নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের ভাবনা তুলে ধরেন এবং ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের জন্য জনগণনির্ভর, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।