

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে। সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় রবিবার সারাদিনে গাজায় ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এছাড়া, লেবাননে চালানো ইসরায়েলি হামলায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ বাড়লেও হামলার মাত্রা কমছে না, বরং সাধারণ জনগণই এর প্রধান শিকার।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি জনপ্রিয় বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর চালানো বোমা হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। হুতি বিদ্রোহীরা বলেছে, হামলায় বাজারের দোকানপাট ও ভবনের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, গত মার্চে গাজায় ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর হত্যাকে “অপারেশনাল ভুল বোঝাবুঝি” এবং “আদেশ লঙ্ঘন” হিসেবে স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। তদন্তে একাধিক দায়িত্বহীনতা ও ভুল সিদ্ধান্তের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় এক উপ-কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়েছে, যিনি ব্রিফিংয়ের সময় “অসম্পূর্ণ ও ভুল তথ্য” দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।
২৩ মার্চের ওই ঘটনায় ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ১৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও একজন জাতিসংঘ কর্মী নিহত হন। আইডিএফ দাবি করেছে, ভুল করে তাদের শত্রুপক্ষ ভেবে গুলি চালানো হয়েছিল।
বিশ্বজুড়ে এই ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করার দাবি তুলছে। তবে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।