

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামে সাংবাদিক এমামুল হক বিশ্বাস ও তার পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে তার আপন ভাই মাহফুজুল হক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় পরিবারটি পৈত্রিক ভিটা ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
ভুক্তভোগী এমামুল হক বিশ্বাস দৈনিক চৌকস পত্রিকার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার বড় ভাই মাহফুজুল হক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। শুধু তাই নয়, তাকে এবং তার দুই ভাইকে ঘরছাড়া করে দিয়েছেন।
সাংবাদিক এমামুল হকের মা নুরুন্নাহার বেগম বলেন,
“আমার ছেলে মাহফুজ টাকার জোরে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি এখন আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আমার আর তিনটি ছেলে—এমামুল, মাহমুদুল, মামুনুল—ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাহমুদুল বাগেরহাটে থাকে, এমামুল গোপালগঞ্জ সদরে, আর মামুনুল কোথায় আছে জানি না—লোকজন বলে সে জেলে আছে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, মাহফুজুল হককে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে আমরা পৈত্রিক ভিটায় ফিরতে পারি।”
মাহমুদুল হকের স্ত্রী জলি বেগম বলেন,
“তিন মাস আগে সন্ধ্যায় একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতে হামলা চালায়, বাড়ি ভাঙচুর করে। তখন থেকেই বাবার বাড়িতে আশ্রয়ে আছি। ভয়ে থানায় অভিযোগও করতে পারিনি।”
অভিযুক্ত মাহফুজুল হক বিশ্বাস অবশ্য নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
“আমার মা ও ভাইরা মিথ্যা বলছে। উল্টো তারাই আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।”
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্থানীয়রা মনে করছেন, একজন সাংবাদিক ও তার পরিবার যদি নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন, তবে সাধারণ মানুষ আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। এখন প্রয়োজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও যথাযথ তদন্ত।