

গাজায় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশে অব্যাহতভাবে বাধা দেওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি শিশু। বিশেষ করে পোলিও ভ্যাকসিন সরবরাহে নিষেধাজ্ঞার ফলে এক ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খলিল দেকরান বার্তা সংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “পোলিও ভ্যাকসিন অবিলম্বে শিশুদের কাছে না পৌঁছালে আমরা একটি প্রকৃত বিপর্যয়ের মুখে পড়ব।” বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
দেকরান আরও বলেন, “শিশু ও রোগীদের রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।” তিনি সতর্ক করে বলেন, প্রায় ৬ লাখ ২ হাজার শিশু বর্তমানে স্থায়ী পক্ষাঘাত ও দীর্ঘস্থায়ী অক্ষমতার ঝুঁকিতে রয়েছে।
পোলিওর পুনরাবির্ভাব ও টিকাদান অভিযান
প্রসঙ্গত, গত বছর গাজায় দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পোলিওর পুনরাবির্ভাব ঘটে। ১০ মাস বয়সী এক শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়। এরপর জাতিসংঘ, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা তিন দফা টিকাদান অভিযান চালায় – যথাক্রমে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
তবে চলমান অবরোধ ও ভ্যাকসিন সরবরাহে বাধার কারণে এই টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হচ্ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, “এটি এখন কেবল একটি আঞ্চলিক সংকট নয়, বরং একটি মানবিক বিপর্যয়।”