

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। অভিযোগ, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। মামলাগুলোতে শেখ হাসিনা ও জয় ছাড়াও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাসহ সাবেক প্রতিমন্ত্রীরাও অভিযুক্ত হয়েছেন।
দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষে আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে এসব নাম উঠে আসে। ২৯ এপ্রিল ছিল আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিন। কিন্তু পুলিশ তা দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন করে আগামী ১২ মে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলার আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও দেশের রাজনীতিতে এর প্রভাব এরইমধ্যে প্রবলভাবে অনুভূত হচ্ছে। সাবেক শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব মামলার নিষ্পত্তি কেবল আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর প্রভাব বিস্তার করবে প্রশাসনিক কাঠামো ও রাজনীতির ওপরও। বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির যে ঘোষণা দিয়েছে, এসব মামলার বিচার তার বাস্তবতা যাচাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এছাড়া প্রশ্ন দেখা দিয়েছে—এই মামলাগুলোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, নাকি এটি সত্যিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি নীতিগত পদক্ষেপ? আগামী দিনগুলোতে মামলাগুলোর অগ্রগতি, বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও এর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতার ভবিষ্যৎ পথরেখা।