ফরিদপুরে এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা

print news
img

ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর জেলা কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা। মঙ্গলবার এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে মো. আব্দুর রহমান এবং সংগঠক হিসেবে মো. রাকিব হোসেন-এর নামও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ফরিদপুর অঞ্চলের অন্তর্গত পাঁচটি জেলা—ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী থেকে দুইজন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য হিসেবে নাম এসেছে সৈয়দা নীলিমা দোলার। তিনি জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসির-এর ভাগ্নি এবং পেশায় ব্যবসায়ী সৈয়দ গোলাম দস্তগির-এর মেয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ থেকে মাস্টার্স করা নীলিমা বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মালিক।

“আমার আসল পরিচয় রাজপথ”—নীলিমার জবাব

সৈয়দা নীলিমা দোলা তার রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জানান,
“আমার পরিবারের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলেও আমি কখনও ছাত্রলীগ বা আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। বরং আমি ২০১২ সাল থেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরাসরি রাজপথে নেমে পড়ি।”

তিনি আরও বলেন,
“২০১৭ সাল থেকেই আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলায় আমি একজন প্রত্যক্ষদর্শী। কেন্দ্রীয় নেতারা সবকিছু জেনেই আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন।”

বিরোধিতা ও প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা

এ বিষয়ে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানা জানান,
“সৈয়দা নীলিমা আমাদের চেনা মুখ নন। তার মামা গোলাম নাসির গত আন্দোলনে আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছেন, এবং তার মায়ের ভূমিকা নিয়েও আমাদের সন্দেহ আছে।”

তিনি আরও বলেন,
“দায়িত্ব দেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করা হলে এমন বিতর্কিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। আমাদের সঙ্গে তার পরিচয় পর্যন্ত নেই।”

৩০ দিনের মধ্যে কমিটি প্রস্তাবনা জমা দিতে নির্দেশনা

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত টিমকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে ফরিদপুর অঞ্চলের প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *