

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী ও সন্তানসহ লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়ার পর এই প্রথমবারের মতো তিনি নিজ দেশে ফিরছেন। শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে সোমবার (৫ মে) রাতে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেন তারা, যার গন্তব্য ঢাকা। বিমানটি মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
২০০৮ সালে তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মাকে নিয়ে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি আদালত ২০২৩ সালে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত হয়, যার ফলে তার দেশে ফেরা সম্ভব হয়।
দেশে ফিরে ডা. জোবাইদা তার পৈতৃক নিবাস ধানমন্ডির ‘মাহবুব ভবন’-এ অবস্থান করবেন। এটি তার প্রয়াত পিতা, সাবেক নৌবাহিনী প্রধান ও মন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বাসভবন। সেখানে তার অসুস্থ মায়ের সঙ্গেও তিনি থাকবেন। তার স্বাগত জানাতে বাসভবনটির নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাড়িটির চারপাশে সিসিটিভি, নিরাপত্তা চৌকি, আর্চওয়ে স্ক্যানার এবং ফুলের বাগানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আশপাশের বাসিন্দাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে তারেক রহমান নিজে নির্দেশনা দিয়েছেন।
ডা. জোবাইদা রহমান একজন মেধাবী চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন তিনি। তার জন্ম সিলেট জেলায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী তার চাচা।
১৭ বছর পর ডা. জোবাইদা রহমানের এই প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিকভাবে যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি তার ব্যক্তিগত জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতিতে তার ভূমিকা ভবিষ্যতে অনেক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।