

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফিরে আসা শুধু দলের জন্য নয়, বরং পুরো জাতির জন্য একটি আনন্দের দিন। মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “চার মাস চিকিৎসা শেষে আজ তিনি দেশে ফিরছেন। এটি আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সহজ করবে এবং দেশকে বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
মির্জা ফখরুল বেগম জিয়ার প্রত্যাবর্তনকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অভিযানে একটি “গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি” হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে, যা দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
আজ সকালে কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওনা দেওয়া বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী ফ্লাইটটি সকাল ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত তার বাসভবন ‘ফিরোজা’য় যাবেন।
তার আগমন উপলক্ষ্যে বিমানবন্দর এলাকায় সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিমানবন্দরের বাইরের সড়ক ঘিরে রাখেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন। এদিকে, বাড়তি জনসমাগমের কারণে বিমানবন্দর এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতাও বেড়ে গেছে।
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার এই মুহূর্তটি রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি তা বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।