

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। স্বৈরাচারী শাসন ও দলীয় সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ থেকে ওঠা দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
শুক্রবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই বিষয়ে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চায়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে জাতিসংঘ যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা সরকার আমলে নিচ্ছে। পাশাপাশি দেশের জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সরকার এরই মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। একই সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে সংশোধনী আনার কথাও বিবেচনায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল হামিদের গোপনে বিদেশে চলে যাওয়ার ঘটনাটি দেশজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করে।