

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো রাজনৈতিক দল ও তার সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে সরাসরি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বাদী-সাক্ষীদের সুরক্ষা এবং আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।”
একই রাতে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এক সামাজিকমাধ্যম পোস্টে অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। তিনি সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরও জানানো হয়, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি আইসিটি আইনের সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ গেজেটও শিগগির প্রকাশিত হবে।