

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিতে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।
রাস্তায় বসে প্রতিবাদ, স্লোগানে মুখর শিক্ষার্থীরা
পুলিশি বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে রাস্তায় বসে পড়েন এবং প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন—
“রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়”,
“দিয়েছি রক্ত, আরও দেব রক্ত”
ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় পুরো এলাকা।
আহত ছাত্র ও পুলিশ সদস্য, চলছে চিকিৎসা
ঘটনাস্থল থেকে জানা গেছে, পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত থাকলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কেন এই লং মার্চ?
‘জুলাই ঐক্য’ নামক ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাস থেকে যাত্রা শুরু করে লং মার্চ। শিক্ষার্থীদের দাবি তিনটি:
- আবাসন সুবিধা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা চালু করতে হবে, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনো কাটছাঁট ছাড়াই অনুমোদন করতে হবে।
- দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করতে হবে।